
বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের হিংস্র রূপ নিয়ে মানব বসতি ধ্বংস করে আল্লাহর হুকুমে। যে মৃদুমন্দ বায়ু প্রাণীর জন্য অপরিহার্যভাবে কাম্য, সেই বায়ু হঠাৎ প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে সর্বত্র প্রলয়কান্ড ঘটিয়ে দেয় আল্লাহর হুকুমে। নিষ্প্রাণ এইসব বস্ত্তগুলি হঠাৎ কিভাবে প্রাণঘাতী হয়ে পড়ে, এর জবাব বস্ত্তবাদীদের কাছে নেই। কেবলমাত্র ঈমানদাররাই বলবেন যে, এগুলি স্রেফ আল্লাহর গযব। আল্লাহ বলেন, ‘বস্ত্তত তোমার প্রতিপালকের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কেউ জানেনা তিনি ব্যতীত’ (মুদ্দাছছির ৭৪/৩১)। আল্লাহ আমাদেরকে এসব গযব থেকে শিক্ষা গ্রহণের তাওফীক দিন।-আমীন!
বর্তমানে সঊদী আরবের সাম্প্রতিক আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া এবং ভিশন ২০৩০-এর আওতায় কিছু সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম চলছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে মাঝে মধ্যেই বিনোদনের নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্যাশন শো ও পশ্চিমা শিল্পীদের নিয়ে নাচ-গানের আসর বসছে। বিশেষত ২০৩৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের প্রেক্ষাপটে ইদানিং সেখানে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হচ্ছে। তীব্র সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়। সঊদী আরবের মতো একটি আদর্শস্থানীয় মুসলিম রাষ্ট্রে এমন কার্যক্রম অতীব হতাশাজনক। বিশ্ব মুসলিমের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে যা আমাদের ধারণারও অতীত। আশা করি তারা অচিরেই এসকল পদক্ষেপ থেকে ফিরে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (মাসিক আত-তাহরীক)


